Android Factory Reset - আসলেই কি ক্ষতিকর?

ফোন রিসেটের ব্যাপারটা অনেকে শুনে থাকলেও খুব বেশি সংখ্যক মানুষের এ ব্যাপারে পরিষ্কার ধারণা নেই। অনেকে জানেন না - ফোনের ফ্যাক্টরি রিসেট কি? কেন দিতে হয়? রিসেট দিলে ফোনের কোন ক্ষতি হয় কি হয় না ইত্যাদি।

ফ্যাক্টরি রিসেট কি ক্ষতিকর ?

আবার অনেকে রিস্টার্ট এবং রিসেটের পার্থক্যই বুঝেন না। আর্টিকেলটি ধৈর্য্য সহকারে পড়তে থাকলে রিসেট এবং রিস্টার্ট সম্পর্কে আপনাদের ধারণা পরিষ্কার হয়ে যাবে। 

Factory reset কি?

আপনার ফোনের সেটিংস অ্যাপে চলে যাবেন। অ্যাপটির সার্চ অপশনের সার্চ বারে যদি reset লিখে সার্চ করেন, দেখবেন দুই রকমের রিসেট এসেছে। একটি হলো Reset WiFi, mobile networks, and Bluetooth এবং অন্যটি Factory Reset।



প্রথম অপশনে ক্লিক করলে অর্থাৎ যেটাকে Network reset বলে, আপনার ফোনে থাকা সকল কানেক্টেড ডিভাইস, সকল কানেক্টিভিটি সম্পূর্ণভাবে ডিসকানেক্ট হয়ে যাবে। তারপর সব আবার কানেক্ট হওয়া শুরু করবে। আবার নতুন করে নেটওয়ার্ক এস্টাব্লিশ হবে। এই ধরনের রিসেটে কোন কানেক্টিভিটি ইস্যু থাকলে সলভ হয়ে যায়।

দ্বিতীয় অপশনটি হলো Factory Reset। এখানে যদি ট্যাপ করেন তাহলে স্ক্রিনের নিচের দিকে 'Erase all data' নামের অপশন দেখাবে। বা অনেকের ফোনে 'Reset to factory default' নামেও অপশনটি থাকতে পারে। অপশনটিতে ট্যাপ করলে রিসেট হওয়া শুরু হবে। 

এই রিসেটে আপনার ফোনে থাকা যাবতীয় সবকিছু Erase বা ডিলেট হয়ে যাবে। এখানে যাবতীয় সবকিছু বলতে আপনার ফোনের Photos, videos, application বা অ্যাপ, Email ইত্যাদি সবকিছু ডিলেট হয়ে যাবে। আপনি যখন নতুন ফোনটি কিনেছিলেন মার্কেট থেকে, ঠিক ঐদিনের মতো হয়ে যাবে ফোনটি।

আপনাকে সবকিছু আবার নতুন করে সেটআপ করতে হবে। আর আপনি যদি নেটওয়ার্ক রিসেট দেন আপনার ফোনের কোন কিছুই ডিলেট বা Erase হবে না। শুধু কানেক্টিভিটি ইস্যুগুলোই নতুন করে রিএস্টাব্লিশ হবে।

Factory রিসেট দেওয়ার পর যেসব ইনফো ইরেজ হয়ে যায় তা আবার ফেরত পাওয়া যায় কিনা ?

উত্তর হলো, না। আপনার ফোনকে ফ্যাক্টরি রিসেট করলে আপনি আর আগের কোন কিছুই ফিরে পাবেন না। ইভেন, রিকভারি টুলস দিয়েও রিসেট হওয়া একটি ফোনের ডাটা ফিরে পাওয়া যায় না। 

রিসেট কেন এবং কখন দিবেন ?

নরমালি আপনার ফোনে যদি ম্যালওয়ার প্রবেশ করে বা আপনার যদি মনে হয় আপনার ফোনের নিয়ন্ত্রণ আপনার অগোচরে কেউ নিচ্ছে, তাহলে ফ্যাক্টরি রিসেট রিকমেন্ডেড। 

যখন আপনি আপনার পুরনো ফোন অন্য কারো কাছে বিক্রি করে দিতে চাচ্ছেন তখন অবশ্যই ফ্যাক্টরি রিসেট দিয়ে নিবেন। কারণ আপনার কোন ইনফরমেশন যাতে লিক না হয়। 

ফোন রিসেট দিলে কি ফোনের পারফরম্যান্স বেটার হয় ?

এটি একটি ভ্রান্ত ধারণা। তবে হ্যা, টেম্পোরারিলি পারফরম্যান্স অনেক ফাস্ট হয় কারণ আপনার ফোন তখন খালি থাকে। মার্কেট থেকে নতুন কিনে আনার পর যেমন খালি ছিল, তখন যেরকম পারফরম্যান্স দিয়েছিল। এখনো ঠিক সেরকমই পারফর্ম করবে। 

কিন্তু আপনি যখন ফোনটি অনেক বেশি অ্যাপস বা ফাইলস ফোল্ডার দিয়ে ভরে ফেলবেন তখন পারফরম্যান্স রিসেট দেওয়ার আগের মতো হয়ে যাবে। 

ঘন ঘন রিসেট দিলে ফোনের ক্ষতি হয় কিনা ?

এটির সহজ উত্তর হলো ফোনের ক্ষতি হয় না কিন্তু আপনার ক্ষতি হবে এবং টাইম ওয়াস্ট হবে। ধরুন আপনি এক সপ্তাহ পরপর বা একমাস পরপর ফোন রিসেট করছেন। তাহলে আপনি যেসব অ্যাপস যেমন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম সহ আরো অন্যান্য অ্যাপস ব্যবহার করছেন সেসব টোটালি আনইন্সটল হয়ে যাচ্ছে। ফলে আপনাকে আবার সব নতুন করে সেটআপ করতে হচ্ছে।

আর একটি ফোনকে নতুন করে কাস্টমাইজ করা খুবই সময়সাপেক্ষ একটি ব্যাপার। তাছাড়া আপনার ফটোস, ভিডিওজ সহ আরো অন্যান্য ফাইলগুলো হারিয়ে ফেলছেন। তাছাড়া ফোনের ইন্টার্নাল স্টোরেজেরও আপনি ডাটা কয়বার মুছে কয়বার ফিল আপ করতে পারবেন তার নির্দিষ্ট ক্ষমতা থাকে। সো এক্ষেত্রেও এটার লাইফস্প্যান অনেক কমে যাচ্ছে। এভাবে আপনার ফোনের কিছুটা ক্ষতি হলেও হতে পারে। 

সতর্কতা 

যদি আপনার ফোনকে রিসেট করতেই হয় তাহলে আপনার ইম্পোর্টেন্ট ফাইলসগুলোর ব্যাকআপ নিতে হবে। আপনি ফটোজ এবং ভিডিওজের জন্য গুগল ফটোজ ব্যবহার অরতে পারেন, আবার ফাইলসের জন্য গুগল ড্রাইভ ব্যবহার করতে পারেন। বা আপনি কোন এক্সটার্নাল মেমোরিতে সেসব শিফট করে দিতে পারেন। 

আরো দেখুন,

রিসেট করার আগে আপনাকে আরেকটি বিষয় মনে রাখতে হবে। যেসব অ্যাকাউন্টে পাসওয়ার্ড এবং ভেরিফিকেশন কোড লাগে, সেসব অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড অবশ্যই আপনার জানা থাকতে হবে। যেমন ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, জিমেইল ইত্যাদি। এবং ভেরিফিকেশন কোড যে নাম্বারে যায় সেটাও আপনার মনে রাখতে হবে। Otherwise আপনি রিসেট দেওয়ার পর নতুন করে কোন কিছুতে লগইন করতে পারবেন না। 

সোর্স : Simply Silly Imrul

Post a Comment

0 Comments