আজকাল অনেক বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে একটি NID দিয়ে মাল্টিপল সিম রেজিস্ট্রেশন। যার কারণে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অসহায় শিকার হচ্ছে সিমের মূল মালিক। সেজন্য সিমের অনলাইন রেজিস্ট্রেশন চেক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ আপনার NID দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্টার্ড আছে চেক করা আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
দেখা গেল, আপনার NID দিয়ে সিম রেজিস্টার্ড করা আছে তিনটা। কিন্তু আপনি ব্যবহার করেন একটা। বাকি দুইটা যারা ব্যবহার করে তাদের কোন একজন একটা জঘন্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে, কিন্তু পুলিশ এসে খুঁজবে আপনাকে। কারণ তার ঐ সিম আপনার NID দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা।
এ ধরনের বিপদ থেকে বাঁচতে আপনার NID দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্টার্ড করা আছে তা চেক করা খুবই জরুরি। যাতে আপনি ব্যবহারের সিমটা রেখে বাকিগুলো বন্ধ করে দিতে পারেন।
আপনার NID দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্টার্ড আছে যেভাবে দেখবেন
ওকে, আপনার NID দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্টার্ড করা আছে তা দেখার জন্য আপনাকে একটি কোড ব্যবহার করতে হবে। সিম কার্ড অনলাইন রেজিস্ট্রেশন চেকিং কোড হলো *16001#। প্রথমেই চলে যাবেন আপনার ফোনের ডায়ালারে। সেখানে গিয়ে *16001# টাইপ করে সবুজ কল বাটনে প্রেস করবেন।
এরপর যে পপআপটি আসবে সেখানে আপনার NID নাম্বারের শেষের চার ডিজিট বা সংখ্যা দিতে হবে। এরপর 'Send' বাটনে প্রেস করবেন।
এখন আপনাকে SMS এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে আপনার NID দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন আছে। আপনার ফোনের 'Message'-এ গিয়ে SMS টি চেক করে দেখে নিন আপনার NID দিয়ে কয়টি সিম কার্ড রেজিস্ট্রার্ড করা আছে। এখানে সিম নাম্বারগুলো আপনাকে অপারেটর সহ দেখাবে। অর্থাৎ কোনটি বাংলালিংক বা গ্রামীণফোন ইত্যাদি।
মেসেজটি চলে এসেছে এবং নিচে যেটি দেখতে পাচ্ছেন সেটি।
মেসেজটিতে যদিও সিকিউরিটি পারপাসে পুরো নাম্বারটি দেখাবে না কিন্তু প্রথম তিন ডিজিটের অপারেটর নাম্বারসহ লাস্ট তিন ডিজিট দেখানো হবে।
এবার এমন যদি হয় কোন নাম্বার আপনার কাছে অপরিচিত মনে হচ্ছে যেটা আপনার NID দিয়ে রেজিস্টার্ড করা তাহলে আপনাকে সিমটি বন্ধ করে দিতে হবে। নির্দিষ্ট সিমটি বন্ধ করানোর জন্য এটি যে অপারেটরের সিম নাম্বার সেই অপারেটরের কাস্টমার কেয়ারে আপনার NID সহ নিয়ে যেতে হবে।
ধরলাম নির্দিষ্ট সিমটি বাংলালিংক অপারেটরের। এবার আপনার NID সহ নিকটবর্তী বাংলালিংকের কাস্টমার কেয়ার অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করে ওদেরকে আপনার NID টা দেখিয়ে ঐ নির্দিষ্ট সিমটি বন্ধ করিয়ে দিতে পারবেন। ওরা একটি সিস্টেমে আপনার NID নাম্বারটা এন্ট্রি দিলেই পুরো সিম নাম্বারটি ওদের সামনে শো করবে এবং বন্ধ করে দিবে।
সিম কার্ডের কারণে আপনার জেল জরিমানা হতে পারে যেভাবে
এখন সবার সিম কার্ডগুলো NID দিয়ে রেজিস্টার্ড করা এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে বায়োমেট্রিক করা। এমনও হতে পারে আপনি আপনার সিম হারিয়ে ফেলেছেন বা মোবাইল হারানোর সাথে সাথে সিমটাও হারিয়ে গিয়েছে। হতে পারে সেই সিম কার্ডটি এখন আপনার অজান্তেই কেউ ব্যবহার করছে।
আবার এমনও হতে পারে আপনি যখন প্রথমবার আপনার NID এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে সিম কিনতে গিয়েছিলেন, কোন দুষ্টু দোকানদার আপনার ঐ NID এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে আরো অনেকগুলো সিম এক্টিভ করে বিক্রি করে দিয়েছে যা আপনি জানেনও না।
এখন যদি এমন হয় কোন ক্রাইম বা ইনসিডেন্টের সাথে আপনার NID দিয়ে রেজিস্টার্ড করা কোন ফোন নাম্বার জড়িত তাহলে সেই ক্রাইমের দায়ভার আপনার ওপরেই বর্তাবে।
আর এসব ক্ষেত্রে পুলিশ সবার আগে সিমের মালিককে খুজবে, মানে আপনাকেই খুঁজবে। কপাল যদি বেশি খারাপ হয় তাহলে আপনি অনেকভাবে নাজেহাল হতে পারেন বা আপনার জেল জরিমানাও হতে পারে।
সো আমাদের দুইটা কাজ অবশ্যই করা উচিত। প্রথমত, চেক করে দেখা যে নিজের NID দিয়ে কয়টি সিম এক্টিভ আছে এবং কোন সিমগুলো আমি ব্যবহার করছি। দ্বিতীয়ত, সন্দেহজনক সিম নাম্বার গুলো যেগুলো আমি ব্যবহার করি না সেগুলো ডিএক্টিভ করে দেওয়া।
আরো দেখুন,
- ওয়াইফাই রাউটার কিনতে চান? ৭টি বিষয় যাচাইয়ের আগে কিনলে ঠকবেন
- ল্যাপটপ বাছাইয়ে দ্বিধা? আপনার বাজেটে সবচেয়ে ভালো ল্যাপটপ কিনুন ১৩ টি উপায়ে
আশা করি পুরো বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। আর্টিকেলটি আপনার উপকারে আসলো কিনা কমেন্ট করে জানান।
সোর্স: 'Simply Silly By Imrul'
0 Comments